আনোয়ার লাইব্রেরী
সহীহ তাম্বীহুল গাফিলীন (প্রিমিয়াম )
যুগের পর যুগ মানুষের হৃদয়ের পরিশুদ্ধি ও আত্মার খোরাক হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়ে আসছে কালজয়ী এই কিতাবটি । এর পূর্ণ নাম: “তাম্বীহুল গাফিলীন বি আহাদীসি সাইয়্যিদিল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন”। নাম থেকে স্পষ্টই বোঝা যায়, এটি হাদীসভিত্তিক একটি নসীহতের কিতাব। ইমাম সমরকন্দী রহ. এই কিতাবের প্রতিটি অধ্যায়ে এত বিশাল পরিমাণ হাদীস ও আছার সংকলন করেছেন, যা প্রতিটি পাঠকের কাছে হাদীসশাস্ত্রে তাঁর সমুদ্রধসম জ্ঞানের পরিচয় করিয়ে দেয়। এর অসাধারণ ইলমী ও জ্ঞানগত মর্যাদার আরো একটি কারণ, এটি কোরআনুল কারীমের বিষয়ভিত্তিক আয়াতের তাফসীরে পরিপূর্ণ। ফিকহ, হাদীস ও তাফসীরের সব্যসাচী পণ্ডিত ইমাম আবুল লাইস (রহ.)-এর অতুলনীয় প্রতিভার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই কিতাবটি ।
সিয়াম বিশ্বকোষ (প্রিমিয়াম)
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ রোযা সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? বড়জোর প্রতি বছর সাহরী-ইফতারের সময়সূচী সম্বলিত ফ্রি বিতরণের লিফলেট, হ্যান্ডবিল, ক্যালেন্ডারগুলোই হয়তো আমাদের জ্ঞানের উৎস। কিন্তু এই মহান ইবাদত, যার পুরস্কার স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নিজে দিতে চেয়েছেন, সেটি কি আমরা তার এই পুরস্কারপ্রাপ্তির যোগ্য হওয়ার জন্যে পালন করতে পারছি? কেয়ামতের দিন বহু রোযাদার উঠবেন, যখন তাদের আমলনামায় লেখা থাকবে “বে-রোযাদার”! কেন? রোযা রেখেছেন বটে কিন্তু নিয়ম না জেনে, ভুল-ভ্রান্তির তোয়াক্কা না-করে, দায়সারাভাবে। তাই জানার কোনো বিকল্প নেই। রোযা নিয়ে অনেক বইয়ের মাঝে রীতিমত হাজার মাসআলার “এনসাইক্লোপিডিয়া” নিয়ে এবারে হাজির হয়েছে আনোয়ার লাইব্রেরী। বিস্তারিত দলীল-প্রমাণ তাহকীকী টিকা-টিপ্পনী এবং শবে বরাত, শবে কদর, ঈদের নামায, চাঁদ দেখা, রোযার আধুনিক মাসায়েল, রোযার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রবন্ধ সংযোজিত হওয়ায় এই সরল-সাবলীল অনুবাদটি হয়েছে ঋদ্ধ। এর বর্তমান সংস্করণে তারাবীহ বিশ্বকোষ ও ইতিকাফ বিশ্বকোষ শীর্ষক দুটি কিতাব একই মলাটবদ্ধ হওয়ায় এটি অধিকতর পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণ করেছে। বাংলা বর্ণানুক্রম অনুযায়ী প্রতিটি মাসআলা ও প্রবন্ধ বিন্যস্ত হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত বিষয়টি অনায়াসেই খুঁজে পাবেন এখানে । সংগ্রহে রাখুন রোযার বিষয়ে বাংলাভাষার বৃহত্তর মাসায়েল সংকলন : সিয়াম বিশ্বকোষ।
সিরাতুন নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
পৃথিবীর ইতিহাসে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ই হলেন এমন ব্যক্তি, যার জীবনী নিয়ে
সবচেয়ে বেশি গবেষণা ও লেখালেখি হয়েছে। প্রত্যেক গবেষক নিজ-নিজ মেধা ও জ্ঞাল দিয়ে চিত্রায়িত করতে চেয়েছেন তার জীবনের অনুষঙ্গঙলোকে ।
প্রতিটি সিরাতগ্রন্থেই ভিন্ন-ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে তার জীবনকে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। এজন্য একজন পাঠক সিরাতের যতগুলো খ্রন্থই পাঠ করে থাকুল নলা-কেল , লতুল কোনো সিরাত্রস্থে তার একটুও একঘেয়েমি বোধ হয় না। বিশেষত লেখক যদি হয়ে থাকেন সৃজনশীল চিন্তার অধিকারী ও সুপত্তিত ৷
ইসলামি সাহিত্যের জগতে কালজয়ী গ্রন্থ রচনা করে যে-কজন জ্ঞানতাপস অমর হয়ে আছেন. তাদের প্রথম সারিতে রয়েছেন ইমাম নববি (রহ.) ৷ কুরআনুল কারিম ও হাদিসের জ্ঞানসমুদ্র সেঁচে সিরাতুন নবির বছমুল্য মণি-মুক্তার সমাহার ঘটিয়েছেন তিণি এই বইয়ে ।
প্রচলিত সিরাতগ্রন্থের তুলমায় সংক্ষেপে ও সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে নবিীবনক্ে চিত্রায়িত করেছেন এখানে তিনি । এমন বহু অজানা জ্ঞানের দ্বার তিনি পাঠকদের সামনে উন্যোচিত করেছেন, যা অনেকের কল্পনারও বাইরে ।
আসুন , ইমাম যাহাবি, ইবনে হাজার, ইবনে কাসির (রহ.)-এর মতো জ্ঞানতাপসও যার জ্ঞানসমুদ্র থেকে পরিতৃপ্ত হয়েছেন, সেই মহান ইমামের সঙ্গে অবগাহন করি সিরাভুন শবি’র এই নতুন জ্ঞান-সরোবরে ।
